প্রচ্ছদ > রাজনীতি > অন্যান্য

রাজনীতিতে ফিরছেন না সোহেল তাজ

article-img

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মনে প্রশ্ন, কে ধরবেন দলের হাল। দলের এই দুঃসময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেশ সরব ছিলেন সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজীম আহমেদ সোহেল তাজ। এর পর থেকে গুঞ্জন ওঠে আবারও রাজনীতিতে ফিরছেন সোহেল তাজ।

তবে সে গুঞ্জন উড়িয়ে দেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে।

সোহেল তাজ বলেন, ‘আমার স্পষ্ট কথা—আমি বারবার বলেছি আমার রাজনীতিতে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। এই পচা-নোংরা-নষ্ট রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ফিরতে চাই না।’ বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে নিজের নিরাপত্তাজনিত বিষয়ে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। গতকাল রাতে কেউ একজন তার পিছু নিয়েছিল, সে বিষয়ে জানাতে এবং নিরাপত্তাজনিত কিছু বিষয়ে আলোচনা করতে সচিবালয়ে যান তিনি।


 
গণমাধ্যমের সামনে সোহেল তাজ বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দলের ওপরই প্রতিহিংসা বা নিপীড়ন করা সঠিক নয়। সেটা যে দলেরই হোক। এখানে অনেক নিরীহ নেতাকর্মী আছেন।’ রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার ও নিপীড়নের নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।

 আওয়ামী লীগসহ রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে এগিয়ে যেতে হলে একটু আত্মসমালোচনা ও আত্মোপলব্ধি করা খুব প্রয়োজন।’


 
গতকাল বুধবার মধ্যরাতে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেওয়া পোস্টে সোহেল তাজ লিখেছেন, ‘দৃষ্টি আকর্ষণ : প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও সেনাবাহিনীর প্রধান। আজকে রাতে কাজ থেকে ফেরার সময় একটি খুবই আতঙ্কজনক ও রহস্যজনক ঘটনার শিকার হই। একজন মোটরসাইকেল আরোহী আমাকে সংসদ ভবন থেকে ফলো করে ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে চলে আসে এবং একটা সময় তার বুকে লাল-নীল বাতি জ্বালিয়ে আমাকে থামতে বলে। আমি থামার পর তার পরিচয় জানতে চাই এবং আমাকে কেন থামতে বললেন তা তাকে জিজ্ঞেস করি।

প্রতিউত্তরে সে আমাকে বলে যে তাদের লোক আসছে আর আমার তাদের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আমি আবার তার পরিচয় জানতে চাইলাম এবং তাকে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি আমাকে চিনতে পেরেছেন কি না। জবাবে সে আমাকে বলল, আমি আপনাকে চিনি, আপনি সোহেল তাজ। তারপর সে মোবাইল ফোনে বলল যে সে আমাকে থামিয়েছে এবং লোকেশন জানিয়ে আসতে বলল। আমি আবার তার পরিচয় জানতে চাইলাম এবং কারা আসছে আর কেন আমাকে থামিয়েছে জানতে চাইলাম। সে কোনো উত্তর না দিয়ে আবার ফোনে কথা বলল তারপর আমাকে বলল চলে যেতে, আর সেও মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে চলে গেল।’ 

 

তিনি আরো লিখেছেন, ‘তার কথা বলার ধরন এবং আচরণে আমি একেবারে কনফিডেন্ট সে কোনো গোয়েন্দা সংস্থার লোক। এভাবে মানুষকে যাতে হয়রানি না করা হয় সেটাই ছিল আমাদের সবার প্রত্যাশা, এখন দেখা যাচ্ছে একই কায়দায় সব চলছে, ছি, ছি।’

 

২০০৯ সালে গঠিত আওয়ামী লীগ সরকারের দ্বিতীয় মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন সোহেল তাজ। মাস ছয়েকের মাথায় তিনি পদত্যাগ করেন। এর পর থেকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হতে দেখা যায়। রাজনীতিতে তিনি দীর্ঘদিন নীরব ছিলেন। তবে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নানা কারণে আলোচনায় ছিলেন।